অনলাইনে টাকা ইনকামের সবচেয়ে ভালো উপায় কী?

অর্থ উপার্জনের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় কী?

অনলাইনে টাকা ইনকামের সবচেয়ে ভালো উপায় কী?: ভালো অর্থ উপার্জন করতে চাই, কিন্তু কিভাবে? এ নিয়ে আমরা প্রায়শই ভাবতে থাকি। কেউ আমরা বসে আছি বেকার হয়ে, কেউবা চাকরির পাশাপাশি খুঁজছি বাড়তি কিভাবে আয় করা যায় তার উপায়। এ নিয়েই লিখছি, পেয়ে যেতে পারেন আপনার পছন্দের অপশনঃ

অনলাইনে টাকা ইনকামের সবচেয়ে ভালো উপায় কী? 

১.ফটোগ্রাফিঃ অনেকের কাছেই DSLR ক্যামেরা দেখা যায়। ক্যামেরা দিয়ে শুধু যে বিয়ে বা কোন জন্মদিনের পার্টির ফটোগ্রাফি করে আয় করা যায়, তা না। আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পথ রয়েছে। নিজের ফটো ব্লগ খুলে তা থেকে আয় করা যায়।

কোন একটা বিষয় খুজে তার উপর ফটোগ্রাফি করা যেতে পারে। অনলাইনে অনেক গুলো সাইট রয়েছে ফটো সেল করার। যে গুলো দেখা যেতে পারে।

তবে তো জানতে হবে কিভাবে করতে হয়! জানাটাও সহজ। কোন ইনিস্টিটিউটের দরকার পড়ে না এখন আর। Google এ গিয়ে সার্চ করলেই অনেক গুলো টিউটোরিয়াল হাজির হবে। একটা থেকে দেখা বা পড়া শুরু করলেই আস্তে আস্তে শিখে নেওয়া যাবে। দরকার ধৈর্য্যের।

২. ডিজাইনিংঃ ডিজাইনিং শিখে নিজের করা ডিজাইন গুলো অনলাইনে অনেক গুলো সাইটেই আপলোড করা যায়। যে গুলো পরে বিক্রি হলে নিজের একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকে। প্রথম প্রথম হয়তো তেমন কোন টাকা আসবে না, কিন্তু এক সময় প্রতি মাসেই একটা ভালো রেভিনিউ আসতে থাকবে। যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে।

অনলাইনে টাকা ইনকামের সবচেয়ে ভালো উপায় কী?

৩. ভিডিও তৈরিঃ নিজে কোন বিষয় দক্ষ হলে আরেক জনে কিভাবে তা শিখতে পারে, তার ভিডিও তৈরি করে সহজেই রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। ইউটিউব সুন্দর একটি জায়গা। এ ছাড়াও রয়েছে Coursera এর মত অনেক ওয়েব সাইট। যেখানে কোন বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে সেল করা যায়। ভিডিও তৈরি করা এমন কোন কঠিন কাজ নয়। এছাড়া কোন একটা জায়গার ভিডিও করে তা থেকেও আয় করা যায়। অনলাইনে টাকা ইনকামের সবচেয়ে ভালো উপায় কী? ২০২৩

আপনার এলাকার কোন জায়গার উপর ভিডিও তৈরি করতে পারেন। সেখানে তো সবাই যেতে পারে না। কিন্তু অনেকেই যেতে চায় বা দেখতে চায়। আর তাই এমন ভিডিও তৈরি করে আপলোড করলেও ভালো কিছু করা যায়। সিম্পল, কিন্তু ভালো রেভিনিউ।

৪. সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টঃ ডেভেলপমেন্ট জানলে সফটওয়ার তৈরি করা যেতে পারে। ভালো আইডিয়া থাকলে এবং ভালো সফটওয়ার তৈরি করতে পারলে একটা সফটওয়ার থেকেই যথেষ্ট রেভিনিউ আসতে থাকবে। 

সব সময় যে বড় কোন প্রজেক্ট করতে হবে তা না, সিম্পল কিন্তু ইফেক্টিভ কিছু দিয়েই ভালো কিছু করা সম্ভব। ক্রিয়েটিভ হলে ছোট খাটো কিন্তু কাজের সফটওয়ার তৈরি করা তেমন কঠিন কিছু না।

৫. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ এছাড়া এখন মোবাইল মার্কেট গুলোতে রয়েছে ভালো ক্যারিয়ার। এন্ড্রয়েড, আইফোন বা উইন্ডোজ ফোনের জন্য অ্যাপ তৈরি করা যেতে পারে। যে সময় ধরে মানুষ চাকরি খুজবে, তার থেকে কম সময়ের মধ্যে এসব ডেভেলপমেন্ট স্কিল শেখা যায়। 

এক রাতেই মিলিনিয়ার হওয়ার মত অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর গল্প রয়েছে মোবাইল অ্যাপ নিয়ে। রয়ালিটি ইনকামের জন্য অ্যাপ সেলিং অবশ্যই সুন্দর এবং ভালো একটা পন্থা। সহজেই শেখা যায় এবং খুব দ্রুত রেভিনিউ জেনারেট করা যায়।

৬. ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংঃ বর্তমান প্রজন্মের কাছে সবচাইতে আলোচিত একটি শব্দ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এ সময়ের তারুণ্যের একটি জনপ্রিয় পছন্দ হলো পার্টটাইম জব।

সঠিক হিসেব না থাকলেও দেশের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার তরুণ-তরুণী এই পেশার সাথে জড়িত থেকে অর্থ কামিয়ে নিচ্ছে। অনেকেই ধারণা করছেন প্রত্যেকে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মার্কিন ডলার আয় করছেন ঘরে বসেই।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার তৈরি ও উন্নয়ন, ওয়েবসাইট তৈরি ও ডিজাইন, মোবাইল অ্যাপস, গেমস, অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম, ভিওআইপি অ্যাপ্লিকেশন, ডেটা অ্যান্ট্রি, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রি-প্রেস, ডিজিটাল ডিজাইন, সাপোর্ট সেবা, কাস্টমাইজড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এর সাথে আরও যুক্ত হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ও সোশ্যাল মার্কেটিংয়ের কাজও।

৭. কল সেন্টারঃ দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোসহ বিদেশি আউটসোর্সিংনির্ভর ফার্মগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কল সেন্টারের মাধ্যমে বেশকিছু পার্ট টাইম জবের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে। কল সেন্টারে শিক্ষার্থীরাই বেশি কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছেন স্মার্ট ব্যক্তিত্ব, ইংরেজি জানা, প্রমিত উচ্চারণ, ভালো কণ্ঠ ও যোগাযোগে দক্ষ শিক্ষার্থীরা।

৮. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টঃ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রমোশন, ক্যাম্পেইন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট-এর সহায়তা নিয়ে থাকে। তাদের সহায়তা করার জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো স্মার্ট তরুণ তরুণীদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই কাজের ধরণ হচ্ছে—দিন, সপ্তাহ কিংবা মাসব্যাপী হয় এই অনুষ্ঠানগুলো। এজন্যই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদেরকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে থাকে।

৯. সুপারশপঃ সুপার শপগুলোতে গ্রাহক সেবার জন্য অল্পবয়সী তরুণ-তরুণীকে। এদের মধ্যে অনেকেই থাকেন পার্টটাই জব নিয়ে। সুপার শপগুলোতে দুই ধরনের কাজ হয়ে থাকে । এক. শপকে গুছিয়ে রাখা ও পণ্য বহন করা। দুই. গ্রাহক সেবা প্রদান করা আর তা হলো সুপারশপে থাকা পণ্যগুলো সম্পর্কে গ্রাহক বা ক্রেতাকে বোঝানো।

আমাদের দেশে এই মুহূর্তে প্রায় ৩০টির মতো চেইনশপ রয়েছে। সারাদেশে এই চেইনশপগুলোর ২৫০টির বেশি আউটলেট রয়েছে আর এতে কাজ করছে প্রায় ১৫ হাজার কর্মী। এরা প্রায় সবাই পার্টটাইম জব করেন তবে এসব স্টোরে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা কাজ করার সময় নির্ধারিত থাকে।

১০. লেখালেখিঃ লেখালেখি সব সময়ই রয়ালিটি ইনকাম করার সুন্দর একটা পন্থা। ইনটারনেটের কারণে এটা আরো সহজ। ওয়েব সাইট খুলে নিজের পছন্দের বিষয় এর উপর লিখলে এবং ওয়েব সাইটে অ্যাড দিয়ে সুন্দর একটা রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। ফুটবল, ক্রিকেট বা যেকোন খেলা, রান্না বান্না, বই এর রিভিউ, মুভি রিভিউ সহ যে কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা যায়।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক গুলো বিষয় রয়েছে যে গুলো নিয়ে কাজ করা যায়। রিসার্সে একটু সময় দিলেই বের করা সম্ভব। খুজে বের করতে হবে নিজে কোনটাতে ভালো। নিজের কাছে কি ভালো লাগে। সুন্দর হোক আপনার জীবন।


আরো পড়ুন:

►► কম দামে ভালো ফোন

►► দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম

►► শুভ বিবাহ শুভেচ্ছা মেসেজ

►► বেস্ট ক্যাপশন বাংলা Attitude


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url